অতীতের প্রেক্ষাপট: ডিএমকে-র দীর্ঘকালীন ছায়া—নারী যৌন নির্যাতনের কালিমা কি পুরনো?
পোল্লাচি কাণ্ড (২০১৯): ‘ডিএমকে’ ও ‘নারী যৌন নির্যাতন’ কীভাবে এক ফ্রেমে বন্দী হলো?
২০১৯ সালে তামিলনাড়ুর পোল্লাচি শহরে এক কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
তদন্তে উঠে আসে, ওই ঘটনার পেছনে থাকা চক্রের সঙ্গে ডিএমকে-র যুব সংগঠনের সদস্যদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
ভিডিও ফুটেজ ও ব্ল্যাকমেলিংয়ের চিত্র মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়তেই জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
📌 অনুমানযোগ্য তথ্য:
ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের মধ্যে একাধিকজন ছিল প্রভাবশালী পরিবার থেকে আগত, যাদের সাথে ডিএমকে নেতাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল।
অভিযোগকারিণীর পরিবার হুমকি ও মানসিক নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছিল, যা আজকের ঘটনার সঙ্গেও গভীর মিল রাখে।
ভাবমূর্তির ভাঙন: ‘উন্নয়নশীল দলের’ আড়ালে নারীর অন্ধকার যাত্রা?
পোল্লাচি কাণ্ডের পরে ডিএমকে নেতৃত্ব তৎকালীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’-এর অভিযোগ তোলে।
কিন্তু সেই অভিযোগ চাপা পড়ে যায় যখন রাজ্যজুড়ে নারী যৌন নির্যাতন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে।
🔍 বিশ্লেষণযোগ্য বাস্তবতা:
তখনকার উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন রাজনৈতিক মহলে উত্থানের পথে ছিলেন। কিন্তু তাঁর অবস্থান ছিল রহস্যময় নীরবতায় ঢাকা।
এই নীরবতা আজকের ঘটনায়ও অব্যাহত—যেখানে পুনরায় নারী যৌন নির্যাতন এবং ডিএমকে-র প্রভাবশালী কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে।
পুনরাবৃত্তি না পুনর্গঠন? ডিএমকে-র অবস্থান কি শুধুই প্রতীকী বিচ্ছিন্নতা?
পোল্লাচির ঘটনার পর ডিএমকে প্রতিশ্রুতি দেয় “নারী সুরক্ষা হবে প্রথম অগ্রাধিকার”।
কিন্তু ২০২৪-২৫-এর এই নতুন অভিযোগ আবারও প্রমাণ করছে, নারী যৌন নির্যাতন ইস্যুতে দলটির প্রতিক্রিয়া এখনো গম্ভীর নয়, বরং প্রতিরক্ষামূলক।
📌 ঘটনাগত মিল:
২০১৯ ও বর্তমান অভিযানে উভয় ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের ঘনিষ্ঠতা ছিল উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন ও ডিএমকে নেতৃত্বের সঙ্গে।
দুই ঘটনার ক্ষেত্রেই দল প্রথমে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে দায় এড়াতে চেয়েছে।
ডিএমকে-র গঠনগত সংকট: ভাবমূর্তি রক্ষার নামে সত্য চাপা পড়ছে?
দলীয় স্বেচ্ছাসেবককে বহিষ্কার করা হলেও, তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা বা আইনি তৎপরতা ছিল অত্যন্ত ঢিলেঢালা।
নারী যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনা তখন যেমন ‘দলীয় ভাবমূর্তি’-র সমস্যা হিসেবে দেখা হয়েছিল, আজও সেই একই ছাঁচে চলেছে প্রতিক্রিয়া।
📌 দুর্লভ অথচ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
২০১৯ সালের ঘটনার ৬ মাস পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চার্জশিট দায়ের হয়নি।
আজকের অভিযোগকারিণীর বক্তব্য অনুযায়ী, একাধিক নারীকে রাজনৈতিক স্বার্থে ‘প্রস্তুত’ করা হতো—এ এক প্রাতিষ্ঠানিক ‘গুড লুকিং ট্র্যাপ’।
পুরনো দাগ কি সত্যিই মুছে গেছে?
ডিএমকে, নারী যৌন নির্যাতন ও উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন—এই ত্রিমুখী সমীকরণ আজ ফের জনচেতনার কেন্দ্রে।
২০১৯-এর পোল্লাচি যৌন কাণ্ড ছিল একটি সতর্কবার্তা। কিন্তু দল যদি সেখান থেকে শিক্ষা না নিয়ে আবার একই পথে চলে, তাহলে নারী সুরক্ষা নয়—রাজনৈতিক নিরাপত্তাই হয়ে উঠবে প্রাধান্য।
স্মৃতি আর বাস্তবতা যখন মিলে যায়, তখন অতীত আর বর্তমানের রেখা ভেঙে পড়ে এক চরম ন্যায়বোধের অভাবেই।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো