পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক কোনো নতুন ঘটনা নয়। ২০২৫ সালের ১১ মার্চ, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস বিদ্রোহীদের হামলার শিকার হয়। বালোচ লিবারেশন আর্মি (BLA) এই হাইজ্যাকের দায় স্বীকার করেছে।
🔴 পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক: কী ঘটেছে?
- হামলাটি ঘটে বেলুচিস্তানের বোলান জেলার টানেল নম্বর ৮-এর কাছে।
- ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিলেন।
- বিদ্রোহীরা ট্রেন থামিয়ে চালকসহ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে।
- যাত্রীদের জিম্মি করে তারা দাবি তোলে, যদি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে, তাহলে জিম্মিদের হত্যা করা হবে।
🔴 কেন বারবার পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক?
পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক ক্রমাগত বাড়ছে, বিশেষ করে জাফর এক্সপ্রেস বারবার হামলার শিকার হচ্ছে। কেন?
🔹 পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে চলাচল → বিদ্রোহীদের জন্য আক্রমণ সহজ।
🔹 নিরাপত্তা ঘাটতি → ট্রেন চলাচলের পথে সুরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল।
🔹 সন্ত্রাসীদের বার্তা ছড়ানো → সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর চাপ সৃষ্টি।
🔴 সাম্প্রতিক কয়েকটি পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক ও হামলা
📌 ১. ২০১৮ সালের হামলা:
- আগস্ট ২০১৮ → পাঞ্জাবগামী জাফর এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত করা হয়।
- বহু যাত্রী আহত হন, আর পাকিস্তানের রেল নিরাপত্তার দুর্বলতা সামনে আসে।
📌 ২. ২০২৪ সালের কোয়েটা রেলওয়ে স্টেশন হামলা:
- নভেম্বর ২০২৪ → আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ২৬ জন নিহত এবং ৬২ জন আহত হন।
- বিস্ফোরণটি স্টেশনের ব্যস্ত সময়ে চালানো হয়।
📌 ৩. জানুয়ারি ২০২৫ সালের বিস্ফোরণ:
- ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ → জাফর এক্সপ্রেসের ভিতরে বোমা বিস্ফোরণ, যাতে অন্তত ১৩ জন আহত হন।
- এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
🔴 পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক ও BLA-র বিদ্রোহী কার্যকলাপ
- গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, BLA পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছে।
- সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের হামলার ধরন বদলেছে → এখন তারা আত্মঘাতী হামলা ও পরিকল্পিত টার্গেটেড অ্যাটাক করছে।
- ২০১৮ সালের হামলার পর থেকে তারা এক ডজনেরও বেশি বড় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।
🔴 পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়া
🔹 বেলুচিস্তানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
🔹 কোয়েটার সিভিল হাসপাতালে জরুরি সতর্কতা।
🔹 সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।
🔹 জনসাধারণকে গুজবে কান না দিতে অনুরোধ।
🔴 পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক: ভবিষ্যতে কী হবে?
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
- বারবার এই ধরনের হামলার শিকার হওয়া রেলপথ কতটা সুরক্ষিত করা সম্ভব?
- যদি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে পাকিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাকের ঘটনা আরও বাড়বে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান কি আদৌ এই সমস্যা সমাধান করতে পারবে, নাকি সাধারণ মানুষকে আতঙ্কের মধ্যেই থাকতে হবে?
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো