🔍 সাইবার অ্যাটাকের নেপথ্যে গুজরাটের দ্বাদশ ফেল ছাত্র — এক গভীর বিশ্লেষণ
সাধারণ পোশাকে ঘোরাফেরা, উচ্চশিক্ষা নেই, কিন্তু গুজরাটের এই দ্বাদশ ফেল যুবক দেশের ৫০টিরও বেশি সরকারি ওয়েবসাইটে চালিয়েছে ঘোরতর সাইবার অ্যাটাক! গুজরাট ATS-এর হাতে ধৃত এই তরুণ আসলে এক “ডিজিটাল ধূর্ত”—নাম তার জাসিম শাহনওয়াজ আনসারি।
📚 পড়াশোনায় ব্যর্থ, সাইবার জগতের ‘হ্যাকারবাবু’
দ্বাদশ ফেল করার পর থেকেই জাসিম আনসারি গুজরাটে নিঃশব্দে গড়ে তুলতে শুরু করে এক ডিজিটাল অস্ত্রাগার।
ইউটিউব, গিটহাব—এ যেন ছিল তার ভার্চুয়াল গুরুকুল।
পাইথন প্রোগ্রামিং, ডিডস অ্যাটাক, হ্যাকিং টুলস—সবই শেখে বিনা মূল্যে, গোপনে, একা।
সে বোঝে, সাইবার অ্যাটাক চালিয়ে দেশজোড়া ‘চমক’ লাগানো যায়।
গুজরাটের নাড়ির খবর রাখা এই ছেলেটি যেন ‘সস্তায় পাওয়া বিপজ্জনক প্রতিভা’।
🧨 মোবাইলই অস্ত্র, অ্যাপই হাতিয়ার
ফোনে ইনস্টল করে Termux এবং Pydroid—দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী কোডিং অ্যাপ।
এই অ্যাপ দিয়েই তৈরি করে স্ক্রিপ্ট, চালায় DDoS সাইবার অ্যাটাক—যা সরকারিভাবে চিহ্নিত সাইবার অপরাধ।
অল্প টাকার নেটপ্যাকেই বিপুল ক্ষতির প্ল্যান—একেবারে “সস্তায় সার্ভার ডাউন”!
গুজরাট থেকে বসেই কেন্দ্র, রাজ্য ও স্বশাসিত সংস্থার সাইটের বিরুদ্ধে চালানো হয় ‘বেহায়া’ সাইবার অ্যাটাক।
🖥️ সাফল্যের গর্ব, স্ক্রিনশটে প্রমাণ
প্রতিটি সাইবার অ্যাটাক সফল হলে জাসিম ব্যবহার করত checkhost.net—যাতে বোঝা যায় কোন সাইট ডাউন হয়েছে।
এই ফলাফল সে শেয়ার করত AnonSec নামে এক টেলিগ্রাম গ্রুপে—যেখানে মিলত বাহবা, উৎসাহ এবং নতুন লক্ষ্যের তালিকা।
নিজেকে গুজরাটের “ডিজিটাল জেহাদী” হিসেবে পরিচয় দিতেও দ্বিধা করত না।
🎯 কাদের টার্গেট করেছিল গুজরাটের এই তরুণ?
প্রতিরক্ষা, সেনাবাহিনী, সরকারী ব্যাঙ্ক, বন্দর, বিমান চলাচল বিভাগ—সবই তার সাইবার অ্যাটাকের তালিকায় ছিল।
গুজরাট ছাড়িয়ে দেশজুড়ে তার অ্যাটাকের শিকারে ছিল কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারও।
দেশ যখন অপারেশন সিন্ধুর নিয়ে ব্যস্ত, তখন সে চালিয়েছে একের পর এক সাইবার অ্যাটাক।
🕵️♂️ কিভাবে তাকে ধরল গুজরাট ATS?
গুজরাট ATS একটি সন্দেহজনক টেলিগ্রাম চ্যানেল ট্র্যাক করে তার মোবাইল নম্বরে পৌঁছয়।
তার চ্যাট, কোড শেয়ার, স্ক্রিনশট বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়—এই দ্বাদশ ফেল তরুণই একাধিক সাইবার অ্যাটাকের মূল চক্রী।
গুজরাট পুলিশের সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলেন, “এই ছেলেটা ভদ্র চেহারায় লুকিয়ে থাকা বিপজ্জনক এক সাইবার হ্যাকার।”
🧠 গুজরাটের গলি থেকে গ্লোবাল ডিজিটাল হামলা
গুজরাটের এক দ্বাদশ ফেল ছেলের সাইবার অ্যাটাক দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
এই ঘটনা প্রমাণ করে—আজকের দিনে সঠিক দিশা না পেলে যুবসমাজ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
আবার, গুজরাট ATS-এর মতো সংস্থা সতর্ক থাকলে, প্রযুক্তির এই ‘সস্তা সন্ত্রাস’ রোখা সম্ভব।
আজ দরকার গুজরাট সহ গোটা দেশের সাইবার সচেতনতা, প্রযুক্তিগত সতর্কতা, এবং সর্বোপরি, তরুণদের সঠিক দিশা।
🔥 অপারেশন সিন্ধুর পর সাইবার অ্যাটাকের ধোঁয়া, গুজরাটের দ্বাদশ ফেল যুবকের ডিজিটাল ‘জেহাদ’
🕶️ অপারেশন সিন্ধুর: রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া, হ্যাকারদের প্রতিহিংসা
২০২৫ সালের এপ্রিল, জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলা ভারত সরকারকে এক কঠোর সামরিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে—অপারেশন সিন্ধুর।
এই রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে গোপন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় কিছু যুবা সাইবার হ্যাকার প্রচণ্ড ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
এই ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটে একের পর এক সাইবার অ্যাটাকে, যার কেন্দ্র ছিল গুজরাটের দ্বাদশ ফেল যুবক জাসিম।
📡 ‘ভার্চুয়াল যুদ্ধ’ চালাতে চেয়েছিল গুজরাটের গলির হ্যাকার
জাসিম ও তার মতো কয়েকজন ‘সস্তা সন্ত্রাসবাদী’, যারা কোনও প্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠীর অংশ নয়, তারা টেলিগ্রাম চ্যানেল ও ডিপ ওয়েব ব্যবহার করে ছড়িয়ে দেয় সাইবার অ্যাটাকের পরিকল্পনা।
তাদের দাবি ছিল—“যুদ্ধের জবাব যুদ্ধেই,” কিন্তু সেই যুদ্ধ ছিল ইথারে, কোডের ভেতরে।
গুজরাট থেকে চালানো হয় একাধিক DDoS অ্যাটাক, যার টার্গেট ছিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।
💻 কোন কোন ক্ষেত্র টার্গেট হয়েছিল?
🔸 প্রতিরক্ষা:
ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাব-ডোমেইন গুলিকে লক্ষ্য করে করা হয় বারবার সাইবার অ্যাটাক।
চেষ্টা চলে নিরাপত্তা সম্পর্কিত সার্ভার থেকে তথ্য টেনে বের করার।
🔸 অর্থনীতি:
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় ও রাজ্য ব্যাঙ্কিং সার্ভার হ্যাকারদের নজরবন্দি ছিল।
গুজরাট থেকে বসেই চালানো হয় ফিনান্সিয়াল ডেটাবেসের উপর ‘সস্তা কিন্তু বিপজ্জনক’ সাইবার অ্যাটাক।
🔸 বিমানচালনা:
DGCA, এয়ারপোর্ট অথরিটি—এই সব সংস্থার উপরও চালানো হয় হ্যাকিং চেষ্টা।
গুজরাট ATS জানায়, তাদের পরিকল্পনায় ছিল বিমান চলাচলে বিশৃঙ্খলা ঘটানো।
🔸 নগরোন্নয়ন:
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পুর উন্নয়ন সংস্থার ওয়েবসাইটে চালানো হয় স্প্যাম অ্যাটাক এবং স্ক্রিপ্ট বম্বিং।
লক্ষ্য ছিল নাগরিক পরিষেবার সিস্টেমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।
🧠 অপারেশন সিন্ধুরের পর হঠাৎ অ্যাটাকের মাত্রা কেন বেড়ে গেল?
গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, অপারেশন সিন্ধুর সফল হওয়ার পর বিদেশি হ্যান্ডলারেরা এই ধরণের সাইবার অ্যাটাক বাড়ানোর জন্য অনুপ্রেরণা ও গাইডলাইন পাঠায়।
গুজরাটের দ্বাদশ ফেল যুবক এই গাইডলাইন অনুসরণ করে কোড লেখে, ইউটিউবে শিখে এবং Termux অ্যাপ দিয়ে অ্যাটাক চালায়।
“কোড নয়, এটা একটা ডিজিটাল বোমা”—এমনটাই মত গুজরাট ATS-এর এক কর্মকর্তার।
📱 কিভাবে এক মোবাইলেই গড়ে ওঠে পুরো অস্ত্রাগার?
গুজরাটের দ্বাদশ ফেল যুবক ব্যবহার করছিল এক অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন—যেখানে ছিল Pydroid, Termux, HTTP Flooder এবং VPN টুল।
এই ফোন দিয়েই সে হ্যাক করত সরকারি সাইট, চালাত সাইবার অ্যাটাক, এবং স্ক্রিনশট পোস্ট করত AnonSec টেলিগ্রাম গ্রুপে।
চরম ‘নিম্নমানের প্রযুক্তি’ দিয়ে ঘটানো হয় উচ্চ-ক্ষমতার বিপর্যয়—এটাই ছিল গোটা পরিকল্পনার সস্তা ও ধূর্ত মোড়ক।
অপারেশন সিন্ধুরের পরে সাইবার ফ্রন্টে নতুন যুদ্ধ, গুজরাট থেকে নেতৃত্ব
অপারেশন সিন্ধুর যখন দেশের সীমান্তে সাফল্যের মুখ দেখাচ্ছে, ঠিক তখনই দেশের ডিজিটাল ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে গুজরাটের সাইবার অ্যাটাক।
এক দ্বাদশ ফেল, অদৃশ্য পটভূমির ছায়া থেকে বেছে নেয় কোডকে অস্ত্র, মোবাইলকে মিসাইল, আর ইউটিউবকে প্রশিক্ষণশিবির।
এ এক নতুন যুদ্ধ—যেখানে গুজরাটের গলির ‘ভদ্র চেহারার’ ছেলেও হয়ে উঠতে পারে হ্যাকার সেনাপতি।
🛡️ সাইবার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গুজরাট ATS-এর পদক্ষেপ: গুজরাটের গলি থেকে ডিজিটাল জাল ভাঙার অভিযান
🔍 ‘AnonSec’-এর ছায়াতলে গুজরাটের সাইবার অ্যাটাকের ছক
গুজরাট ATS প্রথম নজরে আনে এক ‘নিম্নমানের’ কিন্তু মারাত্মক টেলিগ্রাম চ্যানেল—‘AnonSec’।
চ্যানেলটি মূলত এমন সাইবার অ্যাটাকের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল, যেখানে গুজরাটের দ্বাদশ ফেল যুবকদের প্রশিক্ষণ ও অনুপ্রেরণা জুটত।
ATS-এর তথ্য অনুযায়ী, এখানে নিয়মিত পোস্ট হত সরকারি ও আধাসরকারি ওয়েবসাইটে চালানো সাইবার অ্যাটাক-এর স্ক্রিনশট, সফলতা, এবং নতুন টার্গেটের নাম।
“ওরা চ্যানেলকে বানিয়েছিল এক সস্তা সন্ত্রাসের মঞ্চ”— মন্তব্য এক গোয়েন্দা আধিকারিকের।
📲 জাসিম: গুজরাটের অলিগলির ‘সাইবার লস্কর’
গুজরাটের দ্বাদশ ফেল ছাত্র জাসিম নিজেকে পরিচিত করত ‘SilentTrooper’ নামে।
মাত্র ১৮ বছরের এই যুবক Termux, Python Flooders, ও DDoS Scripts-এর সাহায্যে চালাত সাইবার অ্যাটাক।
সে মূলত রাতের বেলা VPN বদলে বদলে সরকারি সাইটে ‘Load Bomb’ ফেলত—এই তথ্য গুজরাট ATS প্রকাশ করে।
🔎 কিছু অপ্রচলিত তথ্য:
জাসিমের মোবাইল থেকে পাওয়া যায় এমন এক স্প্রেডশিট, যেখানে দেশের ৫০টি সরকারি সংস্থার IP লিস্ট করা ছিল।
তার ক্লাউড ড্রাইভে সংরক্ষিত ছিল পূর্বতন সাইবার অ্যাটাকের ডেটা, যার বেশিরভাগই অপারেশন সিন্ধুর-এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া হিসেবে চালানো হয়েছিল।
🧠 ATS-এর নজরদারি কৌশল: খেলার ছলে জালে ফেলা
🔸 ডিজিটাল ছায়াযুদ্ধ:
গুজরাট ATS প্রথমে ইন্টারনেট ট্রাফিক অস্বাভাবিক হারে বাড়তে দেখে কিছু সরকারি সার্ভারে।
তখনই তারা শুরু করে ‘Packet Trace’—ফলে ধরা পড়ে যে উৎসস্থল গুজরাটের নাডিয়াদ শহর।
🔸 ছদ্মবেশে সংযোগ:
ATS-এর এক ডিজিটাল সদস্য নিজেই অনুপ্রবেশ করে AnonSec চ্যানেল-এ, ছদ্মনামে জাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
হালকা চ্যাটে উত্তেজিত হয়ে সে নিজেই জানায় কাদের টার্গেট করেছে, কোন অ্যাপ ব্যবহার করেছে এবং পরবর্তী পরিকল্পনা।
“চটজলদি নাম আর খ্যাতি পাওয়ার লোভেই সে নিজের গর্তে পড়ে”— বলে ATS।
🔗 রাষ্ট্রবিরোধী বার্তার ছড়িয়ে পড়া: কোডের নিচে লুকোনো যুদ্ধে ‘পোস্টার বয়’
জাসিম ও তার সঙ্গীরা সাইবার অ্যাটাক চালিয়ে ওয়েবসাইট হ্যাক করে সেখানে ফেলত রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টার ও লোগো।
এসব পোস্টারের মধ্যে ছিল ‘Free Kashmir’, ‘India Down’, এমনকি ‘Digital Jihad Has Begun’—প্রচণ্ড উস্কানিমূলক বার্তা।
গুজরাট ATS জানায়, এগুলো মূলত আন্তর্জাতিক হ্যান্ডলারদের নির্দেশে পোস্ট করা হত, এবং প্রতিটি সাইবার অ্যাটাক ছিল সংগঠিত।
📁 গ্রেফতার ও উদ্ধারের নাটকীয়তা
গুজরাট ATS ৪৮ ঘন্টা নজরদারির পর এক গোপন অভিযান চালায় নাডিয়াদে।
গ্রেফতার হওয়ার সময় জাসিম তার ফোনে HTTP Flood চালিয়ে ছিল এবং স্ক্রিপ্ট রান করছিল ‘IND_Govt_Target.py’ নামক একটি ফাইলে।
ফোন থেকে উদ্ধার হয়:
৩টি VPN App
২টি ফেক ইমেইল একাউন্ট
ভারত সরকারের ৫০টি ওয়েবসাইটের ‘Admin Panel’ লিংক
‘Hacktivism Manifesto’ নামের একটি মেনিফেস্টো, যেখানে সে নিজের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে
🧨গুজরাট ATS-এর কড়া পদক্ষেপে লাটে উঠল ‘সস্তা সন্ত্রাস’
সাইবার অ্যাটাক এখন আর শুধু কীবোর্ডের খেলা নয়, এটা পরিণত হয়েছে একটি পরিশীলিত রাষ্ট্রবিরোধী যুদ্ধে।
আর সেই যুদ্ধে গুজরাটের দ্বাদশ ফেল যুবক হয়ে উঠেছিল একটি অদৃশ্য সেনার মুখ।
তবে গুজরাট ATS চুপ ছিল না। তাদের স্নায়ুযুদ্ধের পরিণতিতে AnonSec-এর ‘গোপন দেউল’ ভেঙে পড়ে।
এই অভিযান প্রমাণ করে—গুজরাটে সাইবার অ্যাটাক যতই ছায়ায় গড়ে উঠুক না কেন, ভারতের ATS তার প্রতিকার জানে।
🎯 দ্বাদশ ফেল ছাত্রের সাইবার সন্ত্রাস: সমাজের জন্য এক রুক্ষ সতর্কবার্তা
📌 ‘দ্বাদশ ফেল’ মানেই ‘অযোগ্য’ নয়—অথচ বিপদ এখানেই
গুজরাটের দ্বাদশ ফেল যুবক জাসিমের ঘটনা একটা অদ্ভুত দৃষ্টান্ত।
একদিকে স্কুল থেকে ছিটকে পড়া, অন্যদিকে সাইবার অ্যাটাক শেখার অদ্ভুত গতি।
সমাজের চোখে সে ‘ফেলুড়ে’, অথচ তার হাতেই চলছিল গুজরাটের সরকারি সাইটে সাইবার অ্যাটাক।
সমাজ যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখনই ছায়ায় জন্ম নেয় সাইবার সন্ত্রাস।
🔸 সাবধান! শিক্ষার বাইরে থাকা মানেই ‘বেকার’ নয়, হতে পারে ‘ডিজিটাল দানব’।
📌 ‘কমবয়সী + ইন্টারনেট + অবহেলা’ = সাইবার অ্যাটাকের চূড়ান্ত ফর্মুলা
গুজরাটের সাইবার অ্যাটাক পরিচালনা করেছিল এমন একজন, যে কিনা স্কুলেই ব্যর্থ—এই তথ্য নিজেই একটা চড়।
ইন্টারনেট থেকে ইউটিউব দেখে শেখা, VPN দিয়ে নিজেকে লুকানো, Telegram চ্যানেল ঘেঁটে টার্গেট ঠিক করা—সবই একা।
🔍 সাব-পয়েন্ট:
❗ গুজরাট ATS-এর রিপোর্ট বলছে, জাসিম দিনে ইউটিউব দেখে ‘ethical hacking’ শেখার অভিনয় করত, আর রাতে চালাত সাইবার অ্যাটাক।
❗ সে নিজের কাজকে বলত “Digital Revenge”। সমাজ যাকে ফেল করে ফেলেছিল, সে সমাজকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল—গুজরাটের সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে।
📌 সামাজিক দায়িত্বহীনতা: বেকারত্ব নয়, এটা এক ধরনের অবহেলার ফল
গুজরাটের দ্বাদশ ফেল ছাত্রের সাইবার অ্যাটাক স্পষ্ট দেখিয়ে দেয়, শুধু সরকারি চাকরির অভাব নয়, বরং দিকনির্দেশনার অভাবই বড় বিপদ।
এ এক জাতীয় ব্যর্থতা—যেখানে বিদ্যালয়, পরিবার, সমাজ কেউই বোঝেনি এই ‘ছোট্ট চশমা-পরা হ্যাকার’ কী তৈরি করছে।
“যে ছেলেটাকে খোঁটা দিচ্ছিল পাড়ার কাকু, সে-ই একদিন গুজরাট ATS-এর ‘হিট লিস্টে’ উঠল”— এটাই বাস্তব।
📌 সাইবার সন্ত্রাসে শিক্ষাহীনতা নয়, ‘মনোভাবে’ দোষ
🔸 টেকনিক্যাল ল্যাংগুয়েজ নয়, ইচ্ছে ছিল দোষী:
গুজরাটের সাইবার অ্যাটাক প্রমাণ করে দিয়েছে—টেকনিক নয়, ‘উদ্দেশ্যই’ ভয়ংকর।
‘SilentTrooper’ হয়ে ওঠা জাসিম নিজেকে মেসিয়া ভাবত। তার কথায়, “আমরা সরকারকে শেখাতে চাই ডিজিটাল শিক্ষা।”
🔸 বিপদ কোথায়:
❌ তার কাছে ‘দুর্বল সরকারি সাইট’ মানে ছিল ‘খেলনার বাক্স’।
❌ আর সাইবার অ্যাটাক ছিল ‘সমাজকে উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার একটা পদ্ধতি।
📌 গুজরাট ATS-এর বার্তা: সতর্ক হন, ‘ঘরের ছেলেই হতে পারে ঘরের ভিলেন’
গুজরাট ATS জানাচ্ছে, সাইবার অ্যাটাক চালাতে আজকাল কারও হাই ডিগ্রির দরকার নেই—একটা মোবাইল, VPN, ও Telegram চ্যানেলই যথেষ্ট।
জাসিম ছিল ঠিক তেমনই—একজন ‘দ্বাদশ ফেল’ ছেলে, যার বিরুদ্ধে আছে গুজরাটে ৫০টির বেশি সাইবার অ্যাটাকের অভিযোগ।
🔎 তদন্তকারীদের বক্তব্য:
“আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম বিদেশি হ্যাকার, পরে বুঝি গুজরাটেরই এক দ্বাদশ ফেল ছেলের সাইবার অ্যাটাক আমাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।”
📌 শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোয় ফাঁক: কারা দেবে দায়?
যে সমাজে দ্বাদশ ফেল মানে ব্যর্থ, সেখানে কেউ খোঁজ রাখে না ওই ‘ফেলারের’ অনলাইন গতিবিধির।
ফলে, এমন গুজরাটের সাইবার অ্যাটাক কেবল আইন-শৃঙ্খলার ব্যর্থতা নয়, বরং সামাজিক বোধহীনতার ফলাফল।
“যাকে তিরস্কার করেছিল পরিবার, সে-ই দিল সার্ভার ডাউন করে ফিনিশিং চুড়ান্ত চমক।”
✍️ সতর্ক হোন, কারণ এই গল্পটা যে কোনও গলির হতে পারে
গুজরাটের দ্বাদশ ফেল ছাত্রের সাইবার অ্যাটাক কেবল একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটা সমাজের অজান্তেই বড় হতে থাকা এক বিপদের চেহারা।
যদি আজ সচেতন না হই, তবে কাল আরেক ‘SilentTrooper’ উঠে আসবে, শুধু গুজরাটে নয়—আপনার পাশের বাড়ির বারান্দা থেকে।